Home পশ্চিমবঙ্গ পূর্ব বর্ধমান পূর্ব বর্ধমানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভষ্মিভূত বসতবাড়ি

পূর্ব বর্ধমানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভষ্মিভূত বসতবাড়ি

পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লকের দৌয়র গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভষ্মিভূত বসতবাড়ি। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিনিধি, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, পূর্ব বর্ধমান: অগ্নিকাণ্ডের জেরে ভষ্মিভূত বসতবাড়ি, বাড়ির আসবাবপত্র, পোশাক, প্রয়োজনীয় নথিপত্র, নগদ কিছু টাকা সবই পুরে ছাই হয়ে গেছে। পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড অল্প বিস্তর আহত হয়েছে গবাদি পশুরাও। কোন মানুষের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বাড়ির সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় সর্বশ্রান্ত হয়েছে ওই পরিবার।

শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লকের দৌয়র গ্রামে। শনিবার শীতের রাতে হঠাৎ বাড়ির গোয়ালঘর থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বাড়িতে। এবং সেই আগুনই ভষ্মিভূত হয় বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র থেকে আরম্ভ করে পোষাক পরিচ্ছদ, প্রয়োজনীয় নথিপত্র ও নগদ টাকা সহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীও।বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীদের প্রাথমিক অনুমান ইলেকট্রিক শর্ট-সার্কিটর জেরেই এই বিপত্তি। বাড়ির মালিক মোজাফফর হোসেন শেখ জানান,  শনিবার সন্ধ্যায় ইলেকট্রিক শর্ট সার্কিটের জেরে গোয়াল ঘর থেকে আগুন সম্পূর্ণ বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে সম্পূর্ণ বাড়ি। সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ির লোকজন বাইরে বের হয়ে যায়। গ্রামবাসীরা ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগাই। এলাকাবাসীদের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কিন্তু ততক্ষণে সব পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়।

এখন সর্বস্বান্ত ওই পরিবার কোথায় বসবাস করবে কিভাবেই বা আসবে তাদের দুবেলা দুমুঠো খাবার তা নিয়ে চিন্তিত গোটা পরিবার। কারণ আগুনের লেলিহান এই পরিবারের সঞ্চিত খাদ্য সামগ্রী থেকে শুরু করে বসতবাড়ি পোশাক পরিচ্ছদ সবই ভষ্মিভূত করে দিয়েছে। প্রতিবেশী শেখ আসমত আলী জানান, এই বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের জেরে সবই পুড়ে শেষ হয়ে গেছে, এটি সম্পূর্ণ মাটির কাঁচা বাড়ি, আগুন নেভানোর জন্য স্বাভাবিকভাবেই অতিরিক্ত জল ব্যবহারের ফলে বাড়ির দেয়ালগুলো  দুর্বল হয়ে পড়েছে, যেকোনো মুহূর্তে এই বাড়ি ভেঙে পড়ারও আশংকা রয়েছে। এই মুহূর্তে ক্ষতিগ্রস্ত ওই পরিবারকে প্রতিবেশীরা আশ্রয় দিয়েছেন। সরকারিভাবে যদি কোন সহযোগিতা পাওয়া যায় তাহলে ওই পরিবার আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারবে। প্রতিবেশী শেখ আসমত আলী সহ এলাকাবাসীরা জানান, অগ্নি নির্বাপণ কেন্দ্রে খবর দেওয়া হলে দমকলের কর্মীরা হাজির হতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়, কারণ এলাকায় কোন অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্র নেই। বর্ধমান অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্র থেকে আসতে হয় দমকলের কর্মীদের তাই দক্ষিণ দামোদর এলাকায় একটি অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্রের অতি প্রয়োজন বলে দাবি তুলছেন এলাকার মানুষেরা।

Exit mobile version