Home রাজনীতি বর্ধমান পূর্ব আসনে প্রার্থী দিল সি.পি.আই.এম লিবারেশন

বর্ধমান পূর্ব আসনে প্রার্থী দিল সি.পি.আই.এম লিবারেশন

নিজস্ব প্রতিনিধি, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪, পূর্ব বর্ধমান: মেইন স্ট্রীম দলগুলি নিয়েই যখন সংবাদমাধ্যমগুলির চর্চা তুঙ্গে, ঠিক তখন সি.পি.আই.এম.এল অর্থাৎ লিবারেশন প্রার্থী দিল বর্ধমান পূর্ব আসনে। লিবারেশনের প্রার্থী সজল কুমার দে, এক তরতাজা তরুণ, চোখে স্বপ্ন নতুন সমাজ গঠনের। ২১ – ২২ লাখি গাড়ি নিয়ে যুব নেতা সে নয়, ধনীপুত্রের জীবন যাপনের মধ্য দিয়ে সমাজ বদলের স্বপ্ন সে দেখে না, সে স্বপ্ন দেখে কৃষকের বাড়ির সন্তান হিসাবেই।

এই মুহুর্তে বড় চর্চা গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী কে? মেইন স্ট্রীম সংবাদমাধ্যম এখন খুঁজে চলেছে বাম থেকে রামে গড়াগড়ি খাওয়া একঘেয়ে একমাত্রিক কমেডিয়ান নাকি শূন্য থেকে ১৮ তে পৌঁছে দেওয়া দিলীপ ঘোষ নাকি অগ্নিমিত্রা পাল কে প্রার্থী হচ্ছেন। আর এর মাঝেই বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পতাকা উড়িয়ে হিন্দি বলয়ে নিজেদের শক্তির প্রমান দেওয়া লিবারেশন এবার প্রার্থী দিল বর্ধমান পূর্ব আসনে। তারা প্রার্থী করেছে সজল কুমার দে কে।

ইতিমধ্যেই তারা শুরু করে দিয়েছে নির্বাচনী প্রচার। এক্কেবারে কৃষিভিত্তিক এলাকায় তারা প্রার্থী দিয়েছে, প্রার্থী সজল কুমার দে এক তরতাজা তরুণ। লিবারেশন নেতৃত্ব বলছেন, “২০২৪ সালের লোকসভা ভোট এমন একটি ভোট যা দিকনির্দেশ করবে হয় দেশের সংবিধান বলে কিছু থাকবে না, তা হয়ে যাবে গেরুয়া সংবিধান, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে এবং দেশের কৃষক ও শ্রমিকদের বন্ডেড লেবারে পরিণত করে দেওয়া হবে”। লিবারেশন নেতৃত্বের কথায় এটা লোকসভা ভোট তাই তাদের প্রচার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু তারা রাজ্যের সরকারের অন্যায়ের কথাও প্রচারে তুলে ধরবেন।

“পশ্চিমবঙ্গ কেন বিজেপি যেনতেন প্রকারে দখল করতে চাইছে? কারন পশ্চিম বাংলাকে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ভেঙে ফেলা হবে এবং রাজ্যের সবকয়টি কেন্দ্র সরকারের অধীন কারখানা বিক্রি করে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই বিজেপি সরকার যেনতেন প্রকারেণ ক্ষমতা দখল করতে চাইছে”, বলে জানাচ্ছেন লিবারেশন জেলা নেতৃত্ব। পুর্ব বর্ধমান এককালে লাল দুর্গ ছিল, সেই লাল দুর্গে বাম জোট হল না। লিবারেশন প্রার্থী দিল এই আসনে। এটাও পরিস্কার এই মুহুর্তে এই আসনে লড়াই তৃণমুল বনাম বিজেপি। তবে সি.পি.এম এর দিকে সবাই তাকিয়ে যে এবারে সি.পি.এম বামের ভোট পদ্মতে চলে যাওয়া রুখতে পারবে কিনা, কাস্তের ভোট কতটা কাস্তের ঘরে রাখতে পারবে। এই অবস্থায় লিবারেশন আদৌ কোন গুরুত্ব পাচ্ছে না রাজনৈতিক মহলের কাছে। কিন্তু তৃণমুলের জেলা নেতৃত্ব মনে করছেন, “লিবারেশনের প্রচার বিজেপির বিরুদ্ধে হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে বিজেপি বিরোধী মনোভাব বাড়বে এটা অস্বীকার করা যায় না, তবে ভোট আদৌ লিবারেশনের বাক্সে যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে”।

Exit mobile version