Home পশ্চিমবঙ্গ মালদা মালদায় প্রতিবেশীদের চাঁদায় মৃতদেহ ঘরে ফিরলো পরিযায়ী শ্রমিকের

মালদায় প্রতিবেশীদের চাঁদায় মৃতদেহ ঘরে ফিরলো পরিযায়ী শ্রমিকের

মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বালুভরোট এলাকার বাসিন্দা তুফানু মহালদারের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌছাতেই কান্নাই ভেঙে পড়ে পরিবারের লোকেরা। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিনিধি, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, মালদা: মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পাশে দাড়ালেন জেলা পরিষদ সদস্যা তথা ব্লক মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ব্যক্তিগত ভাবে তুলে দিলেন আর্থিক সাহায্য। দলের অন্যান্য নেতৃত্বকেও নির্দেশ দিলেন সাহায্য করার জন্য। প্রশাসনিক দিক থেকেও সঠিক সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন পরিবারকে।

পেটের টানে সংসার চালাতে ভিন রাজ্যে কাজে গেছিলেন মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বালুভরোট এলাকার বাসিন্দা তুফানু মহালদার (৪৮)। দিল্লিতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। কিন্তু গত শনিবার কাজ করতে করতেই মাথা ঘুরে পড়ে যান। সহকর্মীরা স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।

এদিকে তুফানুর মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌছাতেই কান্নাই ভেঙে পড়ে পরিবারের লোকেরা। অন্যদিকে দিল্লি থেকে দেহ কি ভাবে ফিরাবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে তুফানুর স্ত্রী। প্রতিবেশীরা চাঁদা তুলে দেহ ফেরানোর ব্যবস্থা করেন। মঙ্গলবার গ্রামে দেহ ফিরতেই ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান জেলা পরিষদ সদস্যা তথা হরিশ্চন্দ্রপুর-১ (বি) ব্লক তৃণমূলের সভানেত্রী মর্জিনা খাতুন। পরিবারের লোককে সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। ব্যক্তিগত ভাবে তুলে দেন আর্থিক সাহায্য।

তৃণমূলের অন্যান্য অঞ্চল নেতৃত্ব এবং পঞ্চায়েতের জন-প্রতিনিধিদেরকেও সাহয্যের নির্দেশ দেন। সাথে মর্জিনা খাতুন আশ্বস্ত করেন তিনি এই পরিবারের পাশে থাকবেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসনিক যেটা সাহায্য সেটাও ব্যবস্থা করে দেবেন। শোকের আবহের মধ্যেও এই সাহায্য পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে তুফানুর পরিবার।

প্রসঙ্গত হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় মর্জিনা খাতুন সকলের প্রিয় কাকী হিসেবে পরিচিত। প্রাক্তন মন্ত্রী বিশুবাবুর হাত ধরে রাজনীতিতে হাতেখড়ি মর্জিনার। তাই গুরুর আদর্শ মেনেই যেন গরিব মানুষের পাশে থাকার কাজ করে চলেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে মর্জিনা খাতুন জানান, “খুব দুঃখজনক ঘটনা। পরিবারের অবস্থা সত্যিই খারাপ। আমি আপাতত তাদের আজ কিছু সাহায্য করলাম, পরবর্তীতেও পাশে থাকবো।”

Exit mobile version