Home শিক্ষা ছাত্র ভর্তি নিয়ে ‘দুর্নীতির’ অভিযোগে অশান্তি ছড়ালো বর্ধমানের নামকরা সি.এম.এস হাই স্কুলে

ছাত্র ভর্তি নিয়ে ‘দুর্নীতির’ অভিযোগে অশান্তি ছড়ালো বর্ধমানের নামকরা সি.এম.এস হাই স্কুলে

অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রশ্ন করতে এলে সকল অভিভাবকদের গ্রেফতার করানোর হুমকিও দেন সি.এম.এস হাইস্কুলের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায়।

ছাত্র ভর্তির প্রসঙ্গে অভিভাবকদের ক্ষোভের মুখে সি.এম.এস হাইস্কুলের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিনিধি, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩, পূর্ব বর্ধমান: ছাত্র ভর্তি নিয়ে অশান্তি ছড়ালো বুধবার দুপুরে বর্ধমানের অন্যতম নামি স্কুল বর্ধমান সি.এম.এস হাই স্কুলে। বর্ধমান শহরের বি.সি. রোডে বড়বাজার এলাকায় সি.এম.এস স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীতে ওই স্কুলেরই চতুর্থ শ্রেণী থেকে পাশ করা ছাত্রদের সকলকে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজকে বিদ্যালয় চত্বরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বর্ধমান থানার পুলিশ। অভিভাবকরা জানান জেলা স্কুল পরিদর্শকের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ৭০ জন ছাত্রকে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। এই বিষয়ে অভিযোগের আঙুল ওঠে সি.এম.এস হাইস্কুলের মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায় -এর বিরুদ্ধে।

প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায় -এর বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রাইমারি -এর সরকারি বিভাগের ছাত্রদের আগে ভর্তি না নিয়ে টাকার বিনিময়ে বেসরকারি বিভাগের ছাত্রদের ভর্তি নেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, প্রশ্ন করতে এলে সকল অভিভাবকদের গ্রেফতার করানোর হুমকিও দেন তিনি। যদিও প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায় সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন এত ছাত্রকে পঞ্চম শ্রেণীতে বসতে দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তিনি আরও বলেন, প্রাইমারি বিভাগের প্রধান শিক্ষকের গাফিলতিতেই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।

তবে এই বিষয়ে প্রাইমারি বিভাগের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চৌধুরী জানান, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষক মিন্টু রায়ের সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রাইমারি বিভাগ সরকারি নিয়ম মেনে সময় মতো ছাত্রদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে ও সময় মতো মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগে জানানো হয়েছে। এরপরে পুলিশি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অভিভাবকদের মনে সংশয় রয়েছে যে ৭০ জন ছাত্র আদৌ এই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি হতে পারবে কি না।

Exit mobile version