টিএসপি বাংলা ওয়েবডেস্ক: নার্সিংহোমে নিরাপত্তার গাফিলতির জেরে ভর্তি থাকা রোগী পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার ফলে মৃত্যু ঘটলো, এমনই অভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের পাওয়ার হাউস পাড়া এলাকার পারিজাত নার্সিংহোমে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় সোমবার।
সূত্র মারফত জানা যায় গত ১৪ তারিখ হাত ভাঙা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা মন্তেশ্বর থানার অন্তর্গত কামরা গ্রামের বাসিন্দা বংশ হাজরা (৩৮)। পরিবারের অভিযোগ “হাত ভাঙ্গার অপারেশন ঠিকঠাক হলেও গতকাল গভীর রাতে পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দেন আমাদের রোগী”। কিভাবে একজন রোগী পাঁচ তলা থেকে ঝাঁপ দিল সেটি এখন প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেছেন নার্সিংহোমে নিরাপত্তাহীনতার কারণে এই মর্মান্তিক পরিণতি হলো। যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকতো তাহলে সকলের চোখ এড়িয়ে এবং ভর্তি থাকা অন্যান্য রোগীদের অজান্তে এই ঘটনা ঘটত না। পরিবারের পক্ষ থেকে দোষীদের কঠোর শাস্তির আবেদন জানানো হয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে।
এই ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী নার্সিংহোমে উপস্থিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে। অন্যদিকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি নিহত রোগী বংশ হাজরা মদ্যপানে আসক্ত ছিল। হাত ভাঙার কারণে দীর্ঘদিন মদ না পাওয়ায় এবং দ্বিতীয়ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পারিবারিক ঝামেলার খবর পাওয়া গেছিল। গতকাল তার জেরে রোগী এই মর্মান্তিক পথ বেছে নিল। তবে এই কারণ মানতে নারাজ পরিবারের সদস্যরা। তারা নার্সিংহোমের নিরাপত্তার গাফিলতিকে দায়ি করেছেন। এবং ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চেয়ে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।