Home ক্রাইম বর্ধমানের দত্ত সেন্টারে অভিযান পুলিশ সহ দুর্ণীতি দমন শাখার, বাজেয়াপ্ত ৩১৬ টি...

বর্ধমানের দত্ত সেন্টারে অভিযান পুলিশ সহ দুর্ণীতি দমন শাখার, বাজেয়াপ্ত ৩১৬ টি নকল ব্যাগ

দত্ত সেন্টারের একটি দোকান থেকে ১৯ টি ও অন্য একটি দোকান থেকে ৯৭ টি ও তার গোডাউন থেকে ২০০ টি ব্যাগ বাজেয়াপ্ত করে জেলা দুর্নীতি দমন শাখা।

বর্ধমানের দত্ত সেন্টারে অভিযান পুলিশ সহ দুর্ণীতি দমন শাখার, বাজেয়াপ্ত নামী কম্পানির ৩১৬ টি নকল ব্যাগ।

টিএসপি বাংলা ওয়েবডেস্ক, সোমবার, ০৭ আগস্ট ২০২৩, বর্ধমান: নামি কোম্পানির নাম ও লোগো ব্যবহার করে নকল ব্যাগ বিক্রি করার অভিযোগ বর্ধমানে। অভিযোগের পাওয়ার পর বর্ধমানের দত্ত সেন্টারে অভিযান চালালো জেলা দুর্নীতি দমন শাখা ও বর্ধমান থানার পুলিশ। বাজেয়াপ্ত নামী কম্পানির ৩১৬ টি নকল ব্যাগ

জেলা দুর্নীতি দমন শাখা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বৃহস্পতিবার ওই কোম্পানির তরফে অভিযোগ জানানো হয়। এরপরই তদন্তে নেমে সোমবার দত্ত সেন্টারের দুটি দোকান ও একটি গোডাউনে অভিযান চালানো হয়। সেখানে একটি দোকান থেকে ১৯ টি ও অন্য একটি দোকান থেকে ৯৭ টি ও তার গোডাউন থেকে ২০০ টি ব্যাগ বাজেয়াপ্ত করে জেলা দুর্নীতি দমন শাখা। বাজেয়াপ্ত হওয়া ব্যাগগুলির নমুনা পরীক্ষার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জেলা দুর্নীতি দমন শাখার সূত্রে জানা গেছে।

আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ভাঙচুর বর্ধমানের দত্ত সেন্টার এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে

দত্ত সেন্টারের একটি দোকানের কর্ণধার অমল দেবনাথ বলেন, ” আমি সারাবছর বিভিন্ন কোম্পানির নাম লেখা ব্যাগ কিনে এনে বিক্রি করি। কোনদিন নকল ব্যাগ বিক্রির অভিযোগ ওঠেনি। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এক ব্যক্তি আমার দোকানে এসে সাড়ে তিনশো পিস “সাফারি” নাম লেখা ব্যাগের অর্ডার দিয়ে যান। সেইমত আমরা যেখান থেকে মাল কিনি সেই কোম্পানিকে অর্ডার পাঠিয়ে ব্যাগ মজুদ করেছিলাম”।

তিনি আরও বলেন “সোমবার পুলিশ এসে আমাকে জানায়, আমি নাকি নকল ব্যাগ বিক্রি করছি। এতে আমার কি দোষ আছে! এই রকম বহু নামী কোম্পানির নাম লেখা বিভিন্ন প্রোডাক্ট বাজারে বিক্রি হচ্ছে। কোম্পানি তৈরি করে দিচ্ছে বলেই তো আমাদের কাছে আসছে। এখন এই বাজারের অবস্থা, তার মধ্যে ৮০ হাজার টাকা ফাঁসিয়ে যদি কোর্ট কাছারি করতে হয়, এর থেকে বিষ খাওয়া ভাল। এখন মাল ফেরত পেতে আদালতে যেতে হবে”।

Exit mobile version