নিজস্ব প্রতিনিধি, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, পূর্ব বর্ধমান: রায়না- ১ ব্লকের নাড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করা হলেও প্রধান হাজির না হওয়ায় বুধবার পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হলো না। বিরোধীদের অভিযোগ শাসকদলের ভিড় থাকায় ভয়ে প্রধান উপস্থিত হতে পারিনি পঞ্চায়েতে। অপরদিকে শাসকদলের কর্মীদের দাবি, হাইকোর্টের বিচারাধীন বিষয়। এখানে কেউ কোন সিদ্ধান্ত নেবে না। হাইকোর্ট যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেই সিদ্ধান্ত মান্যতা পাবে।
পূর্ব বর্ধমানের রায়না এক নম্বর ব্লকের নাড়ুগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতে প্রধানের আসনটি এসটি সংরক্ষিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই একটি সিটে এসটি প্রার্থী কংগ্রেসের হয়ে জয়ী হন। বাকি আসন সবকটি তৃণমূল পেলেও একটি মাত্র কংগ্রেস হওয়াতে প্রধান নির্বাচনে সমস্যায় পড়ে পঞ্চায়েত। এরপর হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলে হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত, কংগ্রেসের জয়ী প্রার্থী তাকেই প্রধান করতে হবে। কারণ আর কোন এসটি মহিলা প্রার্থী ওই এলাকায় নেই।
সেইমতো বুধবার ছিল প্রধান পদে শপথ গ্রহণ করার দিন। সেই কারণে নারুগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতে পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করেছিল প্রশাসন। সকাল গড়িয়ে বিকেল হয়ে যাওয়ার পরও দেখা মেলেনি কংগ্রেস প্রার্থীর। সেই কারণে আজও নাড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন হলো না। ক্যামেরার সামনে না বললেও টেলিফোনে কংগ্রেসের প্রার্থী জানান বিশেষ কারণে তিনি আজ পঞ্চায়েতে আসতে পারেননি। রায়না-১ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ বামদেব মণ্ডল জানান হাইকোর্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্ত কেই দল মান্যতা দেবে। ওনার ভয়ের কোন বিষয় নেই। উনি কেন এলেন না সেটা তিনিই বলতে পারবেন।
সব মিলিয়ে বলা যায় হাইকোর্টের বিচারাধীন থাকায় কংগ্রেসের এসটি প্রার্থীকে প্রধান করতে হবে নাড়ুগ্রাম পঞ্চায়েতে। একটি আসন ছারা বাকি আসনে তৃণমূল জয়ী হলেও, একটি মাত্র আসন কংগ্রেসের হয়ে যাওয়াতে মুসকিলে পড়েছেন তৃণমূলের নেতা থেকে কর্মীরা। হাইকোর্টের রায় ওই এসটি কংগ্রেস প্রার্থী জয়ী মহিলা কি প্রধান করতে হবে। এখন দেখার ওই কংগ্রেস প্রার্থী কি প্রধান হবেন? না তিনি প্রধানের পদে বসবেন না?