নিজস্ব প্রতিনিধি, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, পূর্ব বর্ধমান: রীতিমত কড়া পুলিশী পাহাড়ায় ধৃত সাদ্দাম হোসেনকে মঙ্গলবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ দিল্লি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সোমবার।
এখানে উল্লেখ্য বাঁকুড়া শহর উপকন্ঠের কেশিয়াকোলে শুট আউটের ঘটনায় নিখোঁজ ছিল পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার কেশিয়ার বাসিন্দা সাদ্দাম সেখ। ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি কাটোয়া পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। সেই থেকে বিচারাধীন বন্দি হিসেবে রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে ছিল। গত ৫ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়া সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পায় সাদ্দাম।
পূর্ব বর্ধমানের গলসির বাসিন্দা সাদ্দামের দুই আত্মীয় তাকে আনতে গাড়ি করে বাঁকুড়া গিয়েছিল। সেই গাড়ি লক্ষ্য করে রাস্তায় দুষ্কৃতীরা গুলি চালিয়েছিল। দু’জনকে জখম অবস্থায় পাওয়া গেলেও সাদ্দামের কোন খোঁজ পুলিশ পায়নি। ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর কাটোয়া থানার খাজুরডিহি গ্রামের বাসিন্দা সাবির সেখ নামে এক যুবককে খুনের অভিযোগ সাদ্দাম সেখ সহ ২০ জনের নামে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল সাবিরের মা ফেরোজা বিবি। সাবির সেখ খুনে সাদ্দামের বাবা জঙ্গল সেখ দীর্ঘদিন জেলে ছিল।
সাদ্দামের বিরুদ্ধে আরও দু’টি খুন সহ ছিনতাই, অপহরণের অভিযোগে বিচার চলছে। সাবির সেখ খুনে বেকসুর হলেও বিকাশ দাস খুনের মামলাতেও সাদ্দাম বেকসুর হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি মামলা সাদ্দামের বিরুদ্ধে চলছিল। সাদ্দামের বাবা জঙ্গল সেখ কাটোয়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিল। বাবা-ছেলে দাগী অপরাধী বলে পুলিশ জানায়।দিল্লি থেকে ধৃত সাদ্দামকে বর্ধমান থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ। তাকে আজ বর্ধমান আদালতে তোলা হলো। তার বিরুদ্ধে আদালতে ২৬ টি মামলা চলছে। তার মধ্যে ১৪ টি খুনের মামলা আছে।