নিজস্ব প্রতিনিধি, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, পূর্ব বর্ধমান: রাস্তা না জমি বোঝা দায়। আড়াই কিলোমিটার রাস্তায় যাতায়াতে প্রায়সই দুর্ঘটনার কবলে পরছে ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অবিলম্বে রাস্তার দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে, কৃষ্ণদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক এবং অভিভাবকদের প্রতিকি বিক্ষোভ দেখালো শুক্রবার।
পূর্ব বর্ধমানের কালনা মহকুমার বহু প্রাচীন প্রাথমিক বিদ্যালয় কৃষ্ণদেবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে সূচনা হয়েছিল ১৯০৫ সালে। তখন এই প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকে বলা হতো টোল। পুরাতন সেই টোল প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিণত হয়েছে ১৯৬০ সালের পর থেকে।
এই স্কুলের সামনে দিয়ে যে পাকা রাস্তা চলে গেছে সেই রাস্তা দিয়ে এক সময়, স্বামী বিবেকানন্দ যেমন হেঁটে গেছেন তেমনি বিদ্যাসাগর এই রাস্তা দিয়েই গেছেন। মহাপুরুষদের পায়ে হাঁটা সেই রাস্তা আজ নেই বললেই চলে। সেখানে এখন শুধু কাদা আর কাদা।

পিচ রাস্তা থেকে কৃষ্ণদেবপুর বাজার থেকে পুরাতন হাটতলা মোট আড়াই কিলোমিটার রাস্তা ভালো করে না দেখলে বোঝাই যাবে না এটা জমি না রাস্তা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা 210 জন। কাদাতে এতটাই খারাপ অবস্থা যে স্কুলে আসতে ভয় পাচ্ছে ছাত্র ছাত্রীরা। স্কুলে এলে পা ফসকে গিয়ে প্রায় সই ঘটছে দুর্ঘটনা। শুধু ছাত্র-ছাত্রীরা নয়, শিক্ষক থেকে অভিভাবকরাও সমস্যায় পড়েছেন যাতায়াতে।
টোটো চালকরা টোটো নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে আসতেই বিপদের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সেই কারণেই টোটো চালকরা ওই রাস্তা দিয়ে কার্যত যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। বহুবার বিডিওকে দরবার করেও কোন লাভ হয়নি।
এলাকার জনপ্রতিনিধিকে বারবার বলেও লাভ না হওয়ায় অবশেষে প্রতীকি বিক্ষোভে শামিল হলেন কালনা মহকুমার নিভূজী বাজারের কৃষ্ণদেবপুরের, কৃষ্ণদেব প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীরা, শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা। আজকের এই বিক্ষোভ প্রশাসনের কানে কি পৌঁছাবে? এখন দেখার বিষয়, কবে তৈরি হয় এই রাস্তা।