নিজস্ব প্রতিনিধি, শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৩, পূর্ব বর্ধমান: শুক্রবার রাতে পুলিশের নাকা চেকিং চলাকালীন গাড়ির মধ্যে থরে থরে টাকার বান্ডিল, তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ কর্তব্যরত পুলিশের। গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা কিন্তু টাকার সঠিক উৎস কি বলতে পারছে না গাড়ির মালিক রাইসমিল ব্যবসায়ী অচিন্ত যশ। তার বাড়ি বর্ধমান শহরের রামকৃষ্ণ পল্লী এলাকায়। তিনি শুধু জানাচ্ছেন এই টাকা ব্যবসার। পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় গাড়িটি আটক করে রাতেই বর্ধমান থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে বর্ধমান শহরের তেলিপুকুর ফ্লাইওভারের নিচে। এই ঘটনায় সারারাত পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পর শনিবার সকালে অচিন্ত যশ কে গ্রেপ্তার করে। উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৪০ লক্ষ ৩৯ হাজার। বিপুল পরিমাণে টাকা মজুত, এই টাকার সঠিক কাগজপত্র দেখাতে না পারার অপরাধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে গাড়ির মালিক রাইসমিল ব্যবসায়ী অচিন্ত যশকে গ্ৰেফতার করে শনিবার বর্ধমান আদালতে পাঠায় পুলিশ।
জানাগেছে, ছোট চারচাকা গাড়িটিতে করে (WB42BC8570) দক্ষিন-দামোদরের দিক থেকে বর্ধমান শহরের দিকে আসছিলো রাইসমিল ব্যবসায়ী অচিন্ত যশ ও পরিবারের চারজন। তখন প্রত্যেকদিনের মতো বর্ধমান থানার পুলিশের নাকা চেকিং চলছিলো। পুলিশ গাড়িটি দাঁড় করিয়ে চেকিং করতেই দেখে গাড়িটিতে থাকা কয়েকটি থলিতে রয়েছে প্রচুর টাকার বান্ডিল। প্রচুর পরিমাণ টাকা গাড়িতে নিয়ে কোথায় যাচ্ছে গাড়ির মালিক?
পুলিশের এই প্রশ্নের সদউত্তর দিতে না পারায় তাদের আটক করে বর্ধমান থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্থানীয়দের মনে প্রশ্ন উঠছে যে, বর্তমানে চারিদিকে চাকরি থেকে রেশন দূর্নীতি চলছে তাতে উঠে আসছে কোটি কোটি টাকার দূর্নীতি। এই বিপুল পরিমাণের টাকার সাথে রাজ্যে চলা দূর্নীতির কোন যোগ নেই তো..? এই সব নানান প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে ডি.এস.পি-২ রাকেশ কুমার চৌধুরী সহ বর্ধমান থানার পুলিশ আধিকারিকরা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।