নিজস্ব প্রতিনিধি, বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, পূর্ব বর্ধমান: জলস্তর কিছুটা কমেছে মুণ্ডেশ্বরী নদীতে। গতকাল রাতে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া আর বৃষ্টির কারণে কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে ৪ অক্টোবর সকালে পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হতেই বালির বস্তা দিয়ে আপাতত নদীর জল রুখে দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা করা হলো। এই কাজে হাত লাগান গ্রামের সাধারণ মানুষজন।
পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না ২ ব্লকের বিডিও অনিশা যশ ও মাধবডিহি থানার ওসি উত্তাল সামন্ত বারবার ফোন করে অবস্থার খোঁজখবর নিচ্ছেন। এর মধ্যেই মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল স্তর বৃদ্ধি পাওয়া সহ বাঁধের খারাপ অবস্থা নিয়ে ইরিগেশন দফতর কে জানিয়েছেন তিনি। ইরিগেশন দপ্তরের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এসেছিলেন। জুনিয়র ইঞ্জিনিয়াররা নদী ভাঙ্গনের বিষয়টিকে মাইনর প্রবলেম বলে উল্লেখ করায় গ্রামের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জমেছে ইতিমধ্যেই।
এখন দামোদরের থেকেও যেন বেশি জলস্ফীতি ঘটেছে মুণ্ডেশ্বরী নদীতে। স্থানীয় মানুষ জন রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে। একদিকে মাঠ ভরা ধান তার ওপরে গ্রাম্য এলাকা সব মিলিয়ে বন্যার আশঙ্কায় ভুগছেন সকলে। ইরিগেশন দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তাদের অত ফান্ড নেই বাঁধ মেরামত করবার মত। তাদের পক্ষ থেকে এই কাজ করা একেবারেই সম্ভব নয়।
তারপরেই রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের সঙ্গে কথা বলেন গোতান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সাহেব আলী খান। তাকে বলা হয়, সমস্যার বিষয়টির ছবি তুলে এবং তা লিখিত আকারের জমা দিতে। তাছাড়া মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। একথা জানান গোতান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান সাহেব আলী খান।