নিজস্ব প্রতিনিধি, রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, পূর্ব বর্ধমান: বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো এবার নদী বাঁধের ভাঙন রোধে। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ সঠিক ভাবে কাজ না করে টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম-২ নম্বর ব্লকের দেকুড়ি গ্রামের অজয় নদের বাঁধের। স্থানীয় প্রশাসন বা ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েও কোন সুরাহা মেলে নি। মাত্র মাস দু’য়েক আগে ভাঙন রোধে শাল বল্লা ও বালির বস্তা দিয়ে তৈরি পকেট বা প্লাটফর্ম বর্ষার জল বাড়তেই ভেঙে পড়েছে।
এবছর এমনিতেই বর্ষার বৃষ্টি তেমন ভালো হয় নি, বরং কৃষিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বর্ষায় বৃষ্টিতে বেশ ঘাটতি আছে। বৃষ্টি ভালো না হওয়ায় নদীর জলও তেমন বাড়ে নি। কিন্তু এই বৃষ্টিতেই মাস দু’য়েক আগে তৈরি পকেট ভেঙে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুধন্য মেটে, তপন মেটেরা বলেন অজয় নদের জল বীরভূমের দিকে না গিয়ে তাদের গ্রামের দিকে অর্থাৎ আউশগ্রামের দিকে বেশী প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদের বাঁধ ক্ষয় হচ্ছে। বীরভূমের দিকে নদের বালি জমে জমি তৈরি হয়েছে। আর আমাদের জমি নদের গর্ভে তলিয়ে গেছে। মূল বাঁধের গড়ায় নদের জল ধাক্কা দিচ্ছে। আর এতেই বাঁধ ক্ষয় হচ্ছে। সেই জন্যই সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে বাঁধ ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আউশগ্রামের দেকুড়ি গ্রামের কাছে অজয় নদের বাঁধের ১২০০ মিটার এলাকা জুড়ে ৪২ টি পকেট বা প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। শাল বল্লা ও বালির বস্তা দিয়ে পকেট তৈরি করা হয় বাঁধের ধারে। কিন্তু নদের জল সামান্য বাড়তেই পকেট ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, “ওই কাজের জন্য ৩ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। এই বিষয়ে সেচদপ্তরের বাস্তুকারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি নিজে কাজ দেখতে যাবো”।
স্থানীয় বাসিন্দা তপন মেটে বলেন, “বাঁধ ক্ষয় রোধের জন্য গ্রামবাসীদের নিয়ে কাজ করতে হবে। পরিকল্পনা করে কাজ না করার জন্যই এই অবস্থা। কোটি কোটি টাকা এসেছে বাঁধ ক্ষয় রোধের জন্য। সেই টাকা খরচ না করেই কাজ হয়েছে, তাই এই অবস্থা”।