নিজস্ব প্রতিনিধি, শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩, পূর্ব বর্ধমান: চাকরির পরীক্ষা হওয়ার প্রায় সাত বছর পরে সেই পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড হাতে পেলেন কর্মপ্রার্থী। অবাক করা এই কাণ্ড ঘটেছে বর্ধমান শহরের নারকেল বাগান এলাকায়। ঘটনার তদন্ত চাইছেন আবেদনকারী। বর্ধমান শহরের বাসিন্দা আশীষ ব্যানার্জি ২০১৬ সালে কৃষি দপ্তরে চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন করেন। ২০১৬ সালের ১৮ ই মার্চ কর্মক্ষেত্র পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখেন আশীষ। সেই বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় রাজ্য কৃষি দপ্তরে কৃষি প্রযুক্তি সহায়ক পদে ৮১৮ জন নিয়োগ করা হবে। যোগ্যতা ছিল উচ্চ মাধ্যমিক। বিজ্ঞপ্তি নং- ০৪/WBSSC/২০১৬, বেতনক্রম ছিল ৫৪০০-২৫২০০।
সেই মতো আশীষবাবু আবেদন করেন। কিন্তু আবেদন করার পর থেকে প্রায় সাত বছর তার কাছে পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড বা আনুসাঙ্গিক কিছু আসেনি। কিন্তু হঠাৎই ০১.১১.২৩ তারিখে দুপুর একটা নাগাদ ডাকযোগে কৃষি দপ্তরের সেই পরীক্ষার একটি অ্যাডমিট কার্ড পান তিনি। যা পেয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত হন আশীষবাবু। কিন্তু অ্যাডমিট খুলেই হতবাক আশীষ। কারণ পরীক্ষা হয়েগেছে প্রায় সাত বছর আগে ২০১৬ সালের ১৮ই ডিসেম্বর। যা দেখে কার্যত মুষড়ে পরেন আশীষবাবু। তিনি চাইছেন এই ঘটানার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক। কার ভুলে তাকে এই খেসারত দিতে হলো তা প্রকাশ্যে আসুক। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করার কথাও ভাবছে তিনি।
এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চরম রাজনৈতিক বিতর্ক। বিরোধী দলগুলি একযোগে শাষকদল ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তাদের অভিযোগ, যেভাবে রাজ্যে শিক্ষা ও পুরসভায় সহ একাধিক যায়গায় দুর্নীতি হচ্ছে এটাও তার অংশ। এখানেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যারা চাকরি পাবার যোগ্য তাদের নাম ইচ্ছাকৃত ভাবে বাদ দিয়ে দলের লোক চাকরি পেয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। অবিলম্বে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবী করেছেন বিরোধীরা। যদিও শাসকদলের সাফাই, এটা ডাকযোগে এসেছে। যদি কোন গলদ থাকে তাহলে সেখানে হয়েছে।