নিজস্ব প্রতিনিধি, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, পূর্ব বর্ধমান: স্কুলের চৌহদ্দির মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন দুই শিক্ষক। স্কুলে তখন বেশ কিছু পড়ুয়া রয়েছে। স্কুলে মারামারি করলে যে শিক্ষকরা এগিয়ে এসে বকাবকি করেন। সেই শিক্ষকরাই নিজেদের মধ্যে মারামারি করছেন। স্কুলের পড়ুয়ারা তো বটেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল দুই শিক্ষকের মারামারি চাক্ষুষ করল সকলেই। শিক্ষকের মারামারির ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।
পূর্ব বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুর মানগোবিন্দ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। কয়েকদিন আগে এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার জোয়ারদার ও সহ শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু রায় একটি কারণ নিয়ে স্কুলের মধ্যেই নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। জানা গিয়েছে, স্কুলের সহ শিক্ষক কৃষ্ণেন্দুবাবু নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে স্কুলে আসেন বলে অভিযোগ প্রধান শিক্ষক অশোক বাবুর। ভাইরাল হওয়া ভিডিও টিতেও দুজনের মধ্যে মারামারির সময় তাঁকে এই কথা বলতে শোনা গিয়েছে।
অন্যদিকে, কৃষ্ণেন্দু বাবু জানান, তাঁকে যেনতেন প্রকারে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন প্রধান শিক্ষক। এমনকি তার স্কুলের ঘটনা নিয়ে সরাসরি তার পরিবারের লোককে ফোন করে অভিযোগ জানান। এই বিবাদ নিয়েই ১৩ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণেন্দু বাবু স্কুলে পৌঁছলেই দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এদিন প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণেন্দু বাবুকে গলা ধাক্কা দিয়ে টিচার্স রুম থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ। সেই সময় অন্যান্য শিক্ষকরা স্কুলে থাকলেও তারা এই বিবাদ মেটানোয় কোনোও ভূমিকা নেননি।
কৃষ্ণেন্দু বাবু জানান,” অন্য শিক্ষকরা স্কুলে না এসেও হাজিরা খাতায় সই করে দিয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষক সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননা। এদিন আমার হাজিরা খাতায় আমি স্কুলে এসে সই করতে গেলে দেখি উনি লাল কালিতে দাগ দিয়ে দিয়েছেন। বলতে গেলে অপমান করেন। এমনকি ১৩ তারিখে আমি ক্লাস নিচ্ছিলাম। হেডস্যার আমার মা কে ফোন করে আমি দেরিতে স্কুলে এসে তান্ডব চালাচ্ছি বলে অভিযোগ করেন। স্কুলের বিষয় নিয়ে আমার পরিবারের লোককে হেনস্থা করার চেষ্টা করছেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবাদ জানতে গেলে উনি আমাকে ওনার ঘর থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। পরে জামা টেনে ধরে মারধর করেন। এই বিষয়ে শক্তিগর থানাতে অভিযোগ জানিয়েছি।” এদিকে এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে ওই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্ররা ডেপুটেশন দেন স্কুলের প্রধান শিক্ষককে।