নিজস্ব প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, পশ্চিম বর্ধমান: দুর্গাপুর উৎসবের উদ্বোধন আর মাত্র দুদিন বাকি, উৎসবের উদ্বোধন হতে চলেছে ৩ ডিসেম্বর। মেলার মাঠে বসানো হয়েছে আলোর মেলা। এক লক্ষ প্রদীপ দিয়ে সাজানো হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকবেন বাংলার দুই জনপ্রিয় শিল্পী জিত গাঙুলী ও রঞ্জিত মল্লিক। এদিকে চলছে প্রস্তুতি পুরোদমে, দুর্গাপুর উৎসব প্রথমবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে। বিরোধীদের কটাক্ষকে কার্যত ধুলো ওড়া করে উড়িয়ে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল উৎসবের আমেজ নিতে প্রস্তুত। উৎসব প্রাঙ্গন এখন আলপনায় ভরে উঠেছে।
প্রাক্তন কাউন্সিলর মনি দাসগুপ্ত নিজেই আঁকছেন আলপনা। তার সাথে স্কুল পড়ুয়ারাও হাত লাগিয়েছে। শিশু কিশোরদের হাতের ছোঁয়ায় আলপনায় ভরে উঠছে উৎসব প্রাঙ্গন। আসছেন বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি তাদের পরিষেবা নিয়ে, রয়েছে হরেক রকম মনোরঞ্জন করার উপকরণ। এদিকে জোর কদমে চলছে আলপনা দেওয়ার কাজ।
প্রাক্তন কাউন্সিলর মনি দাসগুপ্ত বলেন “দুর্গাপুর উৎসবকে ঘিরে গোটা শহর মেতে উঠেছে। সবাই আমরা এখন আলপনা দিতে ব্যস্ত। আলপনা বাঙালির উৎসবের একটি অঙ্গ তাই আলপনায় ভরে উঠবে আমাদের উৎসব প্রাঙ্গন”। ছোট্ট হাতে তখন তুলি, দিচ্ছে সে রঙ আল্পনায়। ঘাড় না ঘুরিয়েই তার উত্তর আমাদের শহর দুর্গাপুর আমাদের গর্ব আর সেটাই প্রকাশ পাবে আমাদের আঁকা আলপনায়।
দুর্গাপুর উৎসব কি বাজিমাত করতে পারবে? আসানসোল উৎসবকে কি পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে পারবে? তুঙ্গে জল্পনা। কেউই মুখে প্রতিযোগিতার কথা না বললেও একটা প্রতিযোগিতা চলছে নিঃশব্দে। কে থাকবে এগিয়ে শহর আসানসোল নাকি শহর দুর্গাপুর।
শিল্পের শহর এখন বাম সৌজন্যে বেসরকারি এডুকেশন হাব আর বেসরকারি হাসপাতালের উচ্চ ইমারতে ঢাকা পড়েছে। আর তার মাঝেই দুর্গাপুর উৎসব যেন মাটির ছোঁয়ায় প্রাণ এনে দিচ্ছে শিল্পাঞ্চলবাসীর কাছে। শহর দুর্গাপুরে ছিল কল্পতরু মেলা, এবার এসে গেল দুর্গাপুর উৎসব। এই উৎসব ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ডিসেম্বর চলবে। গানে গানে ভরে উঠবে শিল্পাঞ্চলের বাতাস। বন্ধ সার কারখানা, বন্ধ এম এ এম সি, হারিয়ে যাওয়া বি ও জি এল, ধুঁকতে থাকা কারখানার মাঝে প্রাণের জাগরণ কি আনতে পারবে দুর্গাপুর উৎসব? প্রশ্নটা এখন মুখে মুখে। তবে আলপনা, আর লক্ষ প্রদীপের আলোয় ভাসবে দুর্গাপুর উৎসব আর মাত্র দুদিন পরেই।