Home ক্রাইম ফের নৃশংসতা মণিপুরে, “মুখে কাপড় গুঁজে” দুই তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ

ফের নৃশংসতা মণিপুরে, “মুখে কাপড় গুঁজে” দুই তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ

যদিও এফআইআর দায়েরের পর দুই মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, তবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এমন তথ্য মেলেনি।

টিএসপি বাংলা ওয়েবডেস্ক, ২২ জুলাই ২০২৩: ৩রা মে থেকে মণিপুরে মহিলাদের বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ভাইরাল ওই ভিডিওর মত আরও “শতশত” ঘটনা ঘটেছে, একথা মুখ্যমন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা বীরেন সিং স্বীকার করার একদিন পরেই রাজ্যে অকথ্য নৃশংসতার আরও দুটি ঘটনা সামনে এসেছে।

বর্তমানে সামনে আসা নতুন ঘটনাতে দুই কুকি তরুণী যারা গাড়ি ধোওয়ার কাজ করতেন, তাদের ৪ই মে ইম্ফল শহরে তুলে নিয়ে গিয়ে “মুখে কাপড় গুঁজে” ধর্ষণ ও খুন করার অভিযোগ রয়েছে৷ ১৬ই মে নির্যাতিতাদের মধ্যে একজনের মায়ের দায়ের করা একটি এফআইআর -এ বলা হয়েছে যে ২১ এবং ২৪ বছর বয়সী দুই তরুণীকে “ধর্ষণ ও নির্যাতন” করার পরে “নৃশংসভাবে হত্যা” করা হয়েছে। প্রায় ১০০ থেকে ২০০ জন মিলে নৃশংসভাবে অত্যাচার চালায়, এমনই উল্লেখ রয়েছে এফআইআর-এ।

স্থানীয় সূত্রে এবিপি আনন্দ -এর তরফে জানাগেছে, দুই তরুণীকে জোর করে একটি ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। মুখে ঠেসে দেওয়া হয় কাপড় যাতে চিৎকারের শব্দ বাইরে না যায়। দুই তরুণীর উপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয় প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে। এর পরে পাশের একটি কাঠ চেরাই কলের কাছে ফেলে দেওয়া হয় নিথর দেহ দু’টি। জামাাকাপড় ছেঁড়া, মাথার চুল কাটা এবং রক্তাক্ত অবস্থায় ওই দুই তরুণীর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে।

এর আগে একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায় যে, ৪ই মে মণিপুরে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার একদিন পর অন্য দুই মহিলাকে অন্য জেলায় বিবস্ত্র করে ঘোরানো হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে একজনকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

নির্যাতিতাদের মধ্যে একজনের মা কাংপোকপি জেলার সাইকুল থানায় ১৬ই মে Zero FIR (একধরনের এফআইআর যা অপরাধ ঘটার স্থান নির্বিশেষে যে কোনো থানায় দায়ের করা যেতে পারে) দায়ের করেছেন। নির্যাতিতাদের নাম এখন পাবলিক ডোমেনে রয়েছে কিন্তু সংবাদমাধ্যমে যৌন নির্যাতিতাদের চিহ্নিত করা ভারতীয় আইনে নিষিদ্ধ।

যদিও এফআইআর দায়েরের পর দুই মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, তবে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এমন তথ্য মেলেনি, এমনটিই দ্যা টেলিগ্রাফ সূত্রে জানাগেছে। এফআইআর-এ, দুই তরুণীর হত্যার জন্য মেইতেই যুব সংগঠন, মেইতেই লিপুন, কাংলেইপাক কানবা লুপ (কেকেএল) এবং আরামবাই টেঙ্গোল, মৌলবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির মতো সংগঠনগুলির সাথে সম্পর্কিত অজানা ব্যক্তিদের দায়ী করা হয়েছে।

Exit mobile version