নিজস্ব প্রতিনিধি, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, পূর্ব বর্ধমান: নেই কোন ইঁট-সিমেন্টের ঘর, নেই পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বৃষ্টিতেও সেই ভাঙা আটচালার নিচে চলে বাচ্চাদের পঠন-পাঠন। এই রকম অবস্থা বর্ধমান-১ ব্লকের বাঘার-১ পঞ্চায়েতের মাহিনগর বাগদীপাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বলে অভিযোগ করেন বৃহস্পতিবার ছাত্র ছাত্রীদের অবিভাবকরা।
ফাঁকা জায়গায় চলছে রান্নাবান্না ও পড়াশোনা, নেই কোন স্থায়ী সেন্টার। সেন্টারে বাচ্চাদের পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। সব জেনেও যেন উদাসীন প্রশাসন। এমনকি বেহাল দশার কথা মেনে নিয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা থেকে পরিচারিকাও। ছোট ছোট শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এই সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু এখানে হচ্ছে উল্টোটাই। একেবারে সঠিক পরিকাঠামো ছাড়াই চলছে মাহিনগর বাগদীপাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি।
এখানে কেন্দ্র বলতে খোলা একটি আটচালা, সেই চালাও ফুটো যা বর্ষার বৃষ্টির জল আটকাতে পারে না। চারদিক গরু, ছাগল চরছে তার পাশেই খোলা আকাশের নিচে একদিকে চলছে রান্না, আর অন্যদিকে ধূলো বালির মধ্যে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে শিশুদের পঠন-পাঠন। এমনকি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের শিশুদের রান্নার জন্য বহুদূর থেকে জল আনতে হয়, পাশে থাকা টিউবওয়েলটি দীর্ঘদিন বিকল হয়ে পরে।
তবে স্থানীয় মানুষ ও অবিভাবকদের প্রধান দাবি, শিশুদের পঠন-পাঠনের জন্য মাথা উপর ছাদ হোক, বৃষ্টির জলে ভিজতে না হয় তাদের বাচ্ছাদের। একেবারে খোলা আকাশের নিচে বন্ধ হোক রান্না, আটচালায় বন্ধ হোক পঠন-পাঠন। তাঁদের প্রশ্ন কীভাবে এই পরিবেশে বাচ্চাদের সেন্টারে পাঠাব? অভিযোগ এরপরেও হুশ নেই প্রশাসনের। স্থানীয় প্রশাসন ও জন প্রতিনিধিদের জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় মানুষের। তাদের দাবী, অতিসত্বর ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।