সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধোর করার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেওয়ান দিঘি থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম অমর মাঝি, সুব্রত মাঝি, জীবন মাঝি, রাকেশ রায়, বিকাশ রায় ও দিবাকর মাঝি। গলসি থানার বনসুজাপুরে দিবাকরের বাড়ি। বাকিদের বাড়ি দেওয়ান দিঘি থানার হলদি দে পাড়ায়। অমর ও সুব্রত সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। রাকেশ ও বিকাশ দুই ভাই।
বৃহস্পতিবার সকালে হলদি দে পাড়া থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার বিষয়ে দেওয়ান দিঘি থানার সিভিক ভলান্টিয়ার উত্তম টুডু অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেয়া, কর্তব্যরত অবস্থায় মারধর প্রভৃতি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
ধৃতদের এদিন বর্ধমান সিজিএম আদালতে পেশ করা হয়। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ৩রা জুলাই ধৃতদের ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজিএম।
পুলিশ জানিয়েছে বুধবার রাতে বাইকে চেপে মোবাইল ডিউটি করছিলেন উত্তম। গভীর রাতে দে পাড়ায় একটি বিয়েবাড়ির লোকজন রাস্তা পার করে বাসে চড়তে যাচ্ছিলেন। সেই সময় একটি বাইক কয়েকজনকে ধাক্কা মারে। বাইকটি রাস্তায় ফেলে রেখে আরোহী পালিয়ে যায়। উত্তম ফোন করে পুলিশকে খবর দেন। বাইকের ধাক্কায় জখম এক মহিলা ও শিশুকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
পরে থাকা বাইকটি থানায় নিয়ে আসতে চান উত্তম। সেই সময় বিয়েবাড়ির লোকজন তার কাছ থেকে বাইকটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে তাকে মারধর করা হয়, তার মোবাইলটি ভেঙে দেয়া হয় এমনকি তার গলা টিপে ধরা হয় বলে লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে। খবর পেয়ে ট্রাফিক হোমগার্ডের লোকজন তাকে উদ্ধার করেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার চিকিৎসা করানো হয়।